মোঃ আল-আমিন দেওয়ান,কালীগঞ্জ,গাজীপুর:
গাজীপুরের কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডরা প্রকৃত আওয়ামী নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র হননে উঠে পড়ে লেগেছে। এরই ধারাবাহিকতায় হাইব্রিডরা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। গণমাধ্যমকর্মীরা হাইব্রিডদের এসব চমকপ্রদ তথ্যে অনেক সময়ই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে হাইব্রিডরা কালীগঞ্জে বিভিন্ন আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে একের পর এক কুৎসা রটনা ও রাজনৈতিক চরিত্র হননে লিপ্ত। এরই ধারাবাহিকতায় এবার হাইব্রিডদের অপপ্রচারের তালিকায় যুক্ত হলেন, বক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সভাপতি, জনসম্পৃক্ত পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক খান। গত কয়েক দিন ধরে তার রাজনৈতিক চরিত্র হননে উঠে পড়ে লেগেছে হাইব্রিড অপপ্রচারকারীরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছাত্র জীবন থেকেই রফিকুল ইসলাম রফিক খান ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সারাদেশে যখন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী হাতে গোনা কিছু জায়গায় পালিত হতো, সেই সময় নিজ উদ্যোগে জনতা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতেন রফিক খান। তিনি যখন ঢাকা তিতুমীর কলেজে পড়াশোনা করেন, সেই সময় তিতুমীর কলেজ ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগ মনোনীত তিনিই একমাত্র (এজিএস) নির্বাচিত সদস্য। তিনি বরাবরই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
রফিকুল ইসলাম রফিক খানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা ও বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়ে বক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। তিনি কালীগঞ্জের শান্তি কন্যাখ্যাত, সংসদ সদস্য, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন।
একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানা, মূলতঃ হাইব্রিডদের কাজই হচ্ছে মেহের আফরোজ চুমকির বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজনদের চরিত্রে কালিমা লেপন করা। যেন ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ে কালীগঞ্জের আওয়ামী রাজনীতি। এসবের পিছনে কল-কাটি নাড়েন জামাত শিবিরের একটি বৃহৎ অংশ। যারা এরইমধ্যে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। তারাই প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের চরিত্র হনন এবং পরস্পরের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টিতে লিপ্ত।
উল্লেখ্য,রফিকুল ইসলাম রফিক খানের পিতা মহসীন খান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সংগঠক। ১৯৭০ সনে বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শহীদ ময়েজ উদ্দিনের সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ঢাকা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের যে বৈঠক করেছিলেন সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রফিক খানের পিতা মহসীন খান। তিনি পাক আমলে অবিভক্ত কালীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। মহসীন খানই বঙ্গবন্ধুর আহবানে প্রথম পদত্যাগকারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত এবং সহযোগিতা করায়, পাক হানাদার বাহিনী ফুলদীতে থাকা তার দুটি বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে এবং ভস্ম করে দেয়।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ক্ষমতা লোভী একটি গোত্র রফিকুল ইসলাম রফিক খানের বিরুদ্ধে আধাজল খেয়ে নেমেছে। তারা তার রাজনৈতিক চরিত্র হননের মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে বিরাগভাজন ও অপ্রিয় করে তোলার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছে অবিরত।